Header Ads

ARTS GROUP  TEACHER
UTPAL DA

CLASS V SCIENCE 2ND CHAPTER

 

মাটির তলার মাটি

 ) সবচেয়ে নীচের স্তরে কি প্রকার মাটি জমা হয়?

 উত্তর:ভারী মোটা দানার মাটি।

 ) মিহি দানার মাটি কোথায় জমা হয়?

 উত্তর:মাটির একেবারে উপরের স্তরে।

 ) একটি গ্লাসের মধ্যে জল নিয়ে মাটি গুলে দিলে কি দেখা যাবে?

 উত্তর:মাটির ভিতরের কণাগুলি স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়েছে।

 ) মাটির তলার মাটি কেমন তা জানার তিনটি উপায় লেখো।

 উত্তর:মাটির তলার মাটি কেমন তা জানা যায় টিউবওয়েল বসানোর সময়, কুয়ো খনন করার সময় এবং পুকুর কাটার সময়।

 মাটি দেখা

 ) মাটির দলা জলে ফেললে সেখান থেকে কি উঠতে থাকে?

 উত্তর:বুজবুজ উঠতে থাকে।

 ) জলে ভেসে থাকা জিনিস কি দিয়ে ভালোভাবে দেখা যেতে পারে?

 উত্তর:আতসকাচ দিয়ে।

 ) আতসকাচকে ইংরেজিতে কি বলে?

 উত্তর:লেন্স।

 ) জলে গোলা হলে মাটিতে থাকা কি প্রকার জিনিস উপরে ভেসে থাকে কি প্রকার জিনিস নীচে পড়ে যায়?

 উত্তর:হালকা জিনিস উপরে ভেসে থাকে এবং ভারী জিনিস নীচে থিতিয়ে পড়ে।

 

মাটি দিয়ে পাকা বাড়ি

 ) মাটির সবচেয়ে মিহি কণাকে কি বলে? এই কণার ফাঁকে কি থাকে?

 উত্তর:মাটির সবচেয়ে মিহি কণাকে কাদার কণা বলে। এই কণার ফাঁকে ফাঁকে একটু জল আর বাতাস থাকে।

 ) প্রথম সিমেন্ট তৈরি হয়েছিল কত বছর আগে?

 উত্তর:প্রায় দুশো বছর আগে।

 ) এদেশে প্রথম সিমেন্ট তৈরি শুরু হয় কত বছর আগে?

 উত্তর:প্রায় ১২০ বছর আগে।

 ) মাটি কয়প্রকার কি কি?

 উত্তর:তিন প্রকার। এঁটেল মাটি, বেলে মাটি এবং দোঁয়াশ মাটি।

 ) এঁটেল মাটি কাকে বলে?

 উত্তর:যে মাটিতে কাদার ভাগ সবচেয়ে বেশি থাকে এবং কাদার কণাগুলি গায়ে গায়ে লেগে সিমেন্টের মতো শক্ত হয়ে যায়, তাকে এঁটেল মাটি বলে।

 ) বেলে মাটি কাকে বলে?

 উত্তর:যে মাটিতে কাদার ভাগ কম এবং বালির ভাগ বেশি থাকে এবং জলধারণ ক্ষমতা খুব কম হয়, তাকে বেলে মাটি বলে।

 ) দোআঁশ মাটি কাকে বলে?

 উত্তর:যে মাটিতে বালি এবং কাদার ভাগ প্রায় সমান সমান থাকে এবং কিছু পরিমাণ জৈব পদার্থ মিশে থাকে, তাকে দোআঁশ মাটি বলে।

 ) এঁটেল মাটির বৈশিষ্ট্য লেখো।

 উত্তর:  * এই মাটিতে কাদার পরিমাণ বেশি থাকে।

 এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা বেশি।

 এই মাটির কণাগুলি খুব সূক্ষ্ম এবং ঘনসন্নিবিষ্ট।

 এই মাটিতে জল দিলে তা আঠালো এবং কর্দমাক্ত হয়, কিন্তু জল শুকিয়ে গেলে সিমেন্টের মতো শক্ত হয়ে যায়।

 ) বেলে মাটির বৈশিষ্ট্য লেখো।

 উত্তর:  * এই মাটিতে বালির পরিমাণ খুব বেশি থাকে।

 * এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা খুব কম।

 * এই মাটির বড় বড় বালিকণার ফাঁক দিয়ে জল সহজেই অনেক নীচে চলে যেতে পারে।

 ১০) দোআঁশ মাটির বৈশিষ্ট্য লেখো।

 উত্তর: * এই মাটিতে বালি এবং কাদার ভাগ প্রায় সমান সমান থাকে।

 * এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা মাঝারি।

 * এই মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ খুব বেশি থাকে।

 এই মাটিতে চাষবাস খুব ভালো হয়।

 ১১) মাটির জৈব এবং অস্বাভাবিক উপাদানগুলির নাম লেখ।

 উত্তর: * জৈব উপাদান- গোবর, মাছের কাঁটা, পচাপাতার কুচি ইত্যাদি।

 অস্বাভাবিক উপাদান- পেনসিলের শিস, পলিথিনের টুকরো, অ্যালুমিনিয়ামের কুচি ইত্যাদি।

 ১২) সিমেন্ট তৈরি হওয়ার আগে কীভাবে ইট গাঁথা হত?

 উত্তর:এঁটেল মাটি দিয়ে ইট গাঁথা হত। কারণ এই মাটিকে গুঁড়ো করে জল দিলে তা সিমেন্টের মতো আঠালো এবং শক্ত হয়ে যেত।

 

মাটি জলের বোঝাপড়া

 ) এমন একটি জিনিসের নাম লেখ যার ভিতর দিয়ে জল গলে যাবে কিন্তু মাটির কণা গলে না?

 উত্তর:ফিলটার কাগজ।

 ) জলে মাটি গুলে দিলে কোন মাটি থেকে তাড়াতাড়ি বেশি পরিমাণে জল বেরিয়ে যেতে পারে?

 উত্তর:বেলে মাটি থেকে।

 ) কোন মাটি ভিজতে বেশি সময় লাগে?

 উত্তর:এঁটেল মাটি।

 উপকার, অপকার; যত্ন পুষ্টি

 ) মাটির সজীব জৈব উপাদান কাকে বলে?

 উত্তর:মাটিতে বসবাসকারী যে সকল জীব বিভিন্ন জটিল জৈব যৌগকে ভেঙে সরল পদার্থ উৎপাদনে সাহায্য করে এবং মাটিকে উর্বর করে তোলে, তাদের মাটির সজীব জৈব উপাদান বলে।

 ) মাটির সজীব জৈব উপাদানগুলি কি কি?

 উত্তর:কেঁচো, ব্যাকটেরিয়া, বিভিন্ন ছোট ছোট কীটপতঙ্গ প্রভৃতি।

 ) মাটির কোন জৈব উপাদান কৃষকের বন্ধু?

 উত্তর:কেঁচো।

 ) কেঁচো জীবাণুরা মাটিকে কীভাবে উর্বর হতে সাহায্য করে?

 উত্তর:কেঁচো জীবাণুরা মাটির মৃত জৈব উপাদানকে ভাঙতে সাহায্য করে। ফলে মাটি উর্বর হয়।

 ) মাটিতে কি প্রকার সার দিলে মাটি উর্বর হয়?

 উত্তর:জৈব সার।

 ) কয়েকটি জৈব এবং কয়েকটি রাসায়নিক সারের নাম লেখ।

 উত্তর: * জৈব সার- কম্পোস্ট সার, গোবর সার।

 রাসায়নিক সার- নাইট্রোজেন সার, ফসফেট সার, ইত্যাদি।

 ) সারের থেকে কোন কোন উপাদান গাছ বেছে নেয়?

 উত্তর: নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম প্রভৃতি।

 ) মাটির ক্ষতিকর উপাদান বা মাটির শত্রু কাদের বলা হয়?

 উত্তর:পলিথিন, প্লাস্টিক প্রভৃতিকে।

 ) গাছের শিকড় মাটিতে ঢুকতে না পারলে কি হয়?

 উত্তর:ঝড়ে গাছ উল্টে যায়।

 ১০) পলিথিন, প্লাস্টিক কীভাবে মাটি গাছের ক্ষতি করে?

 উত্তর:পলিথিন, প্লাস্টিক প্রভৃতি কয়েকশো বছরেও ভাঙে না। মাটিতে এইসব জিনিস জমলে এরা মাটিকে আলো হাওয়া পেতে দেয় না। এমনকি গাছের শিকড় মাটিতে ঢোকার সময় বাধা সৃষ্টি করে। আর এই শিকড় মাটিতে ঢুকতে না পারলে ঝড়ের সময় গাছ উলটে যাবে এবং মাটি অধিক পরিমাণে ক্ষয় হবে।

 ১১) মাটির উর্বরতা বাড়ানোর কয়েকটি উপায় লেখো।

 উত্তর:মাটিতে প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্নপ্রকার জৈব অজৈব সার মেশাতে হবে।

 মাটিতে সজীব উপাদানের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

একই জমিতে একই ফসল বারবার চাষ না করে ভিন্ন ভিন্ন ফসলের চাষ করতে হবে।

 

মাটি থেকেই সোনার ধান

 ) কোন মাটি ধান চাষের জন্য উপযোগী?

 উত্তর:যে মাটিতে জল দাঁড়াতে পারে এবং মাটি সহজেই কাদা হয়ে যায়, সেই মাটি ধান চাষের পক্ষে উপযোগী।

 ) বীজতলা কাকে বলে?

 উত্তর:ধান চাষের জন্য প্রথমে জমির মধ্যে ছোট জায়গায় কাদা করে ঘনভাবে ধান ছড়াতে হয়। একেই বীজতলা বলে।

 ) কোন ধান চাষের জন্য বীজতলা দরকার হয় না?

 উত্তর:আউশ ধান চাষের জন্য।

 ) কোন ধান রোয়ার জন্য জমিতে একটু জল দাঁড়ানো প্রয়োজন?

 উত্তর:আমন ধান।

 ) বীজধান কাকে বলে?

 উত্তর:বীজতলা ঘন হয়ে যখন ছোট ছোট চারাগাছ বের হয়, তখন সেই গাছগুলিকে বীজধান বলে।

 ) বীজধান কীভাবে বসানো হয়?

 উত্তর:বীজধান এক বিঘত অন্তর সারি দিয়ে বসানো হয়।

 ) বীজধান কত বড় হলে সেগুলি তুলে বসাতে হয়?

 উত্তর:হাতখানেক অর্থাৎ এক হাতের সমান হলে।

 ) রোয়া কাকে বলে?

 উত্তর:সারিবদ্ধভাবে কাদা জমিতে বীজধান বসানোকেই রোয়া বলে।

 ) ধান রোয়ার আগে মাটি কি করতে হয়?

 উত্তর:মাটি কাদা করতে হয়।

 

মাটির উপর চা গাছ

 ) পাহাড়ে চা এবং বিভিন্ন শাকসবজি তৈরি করতে কতটা গভীর মাটি লাগে?

 উত্তর:প্রায় এক-দেড় বিঘত গভীর।

 ) পাহাড়ের গায়ে কীভাবে চাষ করা হয়?

 উত্তর:পাহাড়ের ঢালে সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে ছোট ছোট জমি তৈরি করে সেখানে বৃষ্টির জল আটকে চাষ করা হয়।

 ) পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি চা কোথায় চাষ হয়?

 উত্তর:দার্জিলিং জেলায়।

 ) মে-জুন মাসে দার্জিলিং- কি চাষ হয়?

 উত্তর:কপি।

 ) পাহাড়ের ঢালে জমি কেমন হয়?

 উত্তর:অনেকটা সিঁড়ির মতো।

 ) ধাপ চাষ কাকে বলে?

 উত্তর:পাহাড়ের ঢালে সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে জমি তৈরি করে শস্য চাষ করাকে ধাপ চাষ বলে।

 ) মাটি তৈরিতে কারা সাহায্য করে?

 উত্তর:লাইকেন, মস, ফার্ন প্রভৃতি উদ্ভিদ।

 ) ধান বা শাকসবজি চাষে কতটা গভীর মাটি লাগে?

 উত্তর:এক-দেড় ফুট গভীর গর্ত লাগে।

 ) পাহাড়ে পাথর কীভাবে গুঁড়ো হয়?

 উত্তর:পাহাড়ে পাথর গুঁড়ো হয় ভূমিকম্প, সূর্যের তাপ এবং প্রবল বৃষ্টিতে।

 ১০) মাটি কীভাবে তৈরি হয়?

 উত্তর:ভূমিকম্প, সূর্যের তাপ, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত প্রভৃতির ফলে পাথর চূর্ণ বিচূর্ণ হয়। এই সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম পাথরের গুঁড়োর সঙ্গে লাইকেন, মস, ফার্ণ প্রভৃতি উদ্ভিদের দেহ মিশে নরম মাটি তৈরি করে।

 

ধসে রাস্তা বন্ধ

 ) পাহাড়ের রাস্তা কেমন হয়?

 উত্তর:খাড়া হয়।

 ) ধস নামা আসলে কি?

 উত্তর:পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিক্ষয়ের ফলে মাটি পাথর খসে পড়া।

 ) কি কি কারণে পাহাড়ে ধস নামে?

 উত্তর:ভূমিকম্প হলে বা প্রবল বৃষ্টিপাতে মাটি গলে গেলে পাহাড়ে ধস নামে।

 ) কি কি থাকলে ধস কম হয়?

 উত্তর:বড় গাছ, ঘাসের চাপড়া প্রভৃতি থাকলে ধস কম হয়।

 ) পশ্চিমবঙ্গের কোথায় ধস নামতে দেখা যায়?

 উত্তর:দার্জিলিং-এ।

 ) ভূমিক্ষয় কাকে বলে?

 উত্তর:মাটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরে যাওয়াকে বলে ভূমিক্ষয়।

 ) ভূমিক্ষয় কীভাবে হয়?

 উত্তর:মাটিতে প্লাস্টিক বা পলিথিন পড়ে থাকলে তার উপরে মাটির যে কণা থাকে তার সঙ্গে নীচের মাটির কণার কোনো যোগ থাকে না। ফলে ঝড়বৃষ্টি হলে উপরের মাটি ঝড়ে গিয়ে ভূমিক্ষয় হয়।

 ) ভূমিক্ষয়ের প্রধান সমস্যাগুলি কি কি?

 উত্তর: * ভূমিক্ষয়ের ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে ধস নামে এবং রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়।

 * প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

 মাটির উর্বরতা কমে যায়। ফলে গাছপালা ভালো জন্মায় না।

 ) কি কি করলে ভূমিক্ষয় কমবে?

 উত্তর:* পাহাড়ের ঢালে বড় বড় গাছ লাগাতে হবে।

 * বিজ্ঞানসন্মত উপায়ে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট প্রভৃতি নির্মাণ করতে হবে।

 * এছাড়া মাটিতে যাতে প্লাস্টিক, পলিথিন প্রভৃতি পড়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 

চেনা চেনা জলাশয়

 

) মোতিঝিল জলাশয়ের কথা কোন বইতে আছে?

 উত্তর:সহজ পাঠ বইতে।

 ) জলাশয় থেকে মাছ ধরে খায় এমন কয়েকটি পাখির নাম লেখো।

 উত্তর:মাছরাঙা, চিল, বক।

 ) জল থেকে ছোঁ মেরে মাছ নিয়ে যায় কে?

 উত্তর:মাছরাঙা।

 ) পাঁকের মধ্যে মাছ খোঁজে কে?

 উত্তর:বক।

 ) জল ছুঁয়ে নখে করে মাছ নিয়ে যায় কে?

 উত্তর:চিল।

 ) নয়ানজুলি কি? এখানে লোকেরা কি করে?

 উত্তর:নয়ানজুলি একটি জলাশয়। এখানে লোকেরা মাঝেমধ্যে মাছ ধরে। এরপর সেগুলি নিজেরা খায় বিক্রি করে।

 ) নয়ানজুলি কোথায় দেখা যায়?

 উত্তর:রাস্তার ধারে।

 ) পুকুরের চারপাশ পাকা করে দিলে কাদের ক্ষতি হতে পারে?

 উত্তর:কচ্ছপ, ব্যাঙের মতো প্রাণীদের।

 ) বাঁওড় কি?

 উত্তর:নদীর বাঁকে খানিকটা জায়গা নদী থেকে আলাদা হয়ে বদ্ধ জলা হয়ে যায়। একেই বাঁওড় বলে।

 ১০) ঝোরা কি?

 উত্তর:পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক ছোট ছোট ঝরনা দেখা যায়। এদের ঝোরা বলে।

 

নতুন জলাশয়

 ) শহর গ্রামের মধ্যে কোথায় জলাশয় বেশি দেখতে পাওয়া যায়?

 উত্তর:গ্রামে।

 ) শহরের জলের প্রধান উৎস কি কি?

 উত্তর:জলের ট্যাঙ্ক, কলের জল প্রভৃতি।

 ) কোন জলাশয়ে মাছ চাষ বেশি হয়?

 উত্তর:বিল ভেড়িতে।

 

স্রোতের জল, স্থির জল

 ) জলের স্রোত কোথায় খুব বেশি হয়?

 উত্তর:পাহাড়ি অঞ্চলে।

 ) জমি কোথায় উঁচু কোথায় নিচু কীভাবে বোঝা যায়?

 উত্তর:জমিতে জলের স্রোত কোনদিক থেকে কোনদিকে যায় তা দেখে।

 ) রাসায়নিক বিক্রিয়া কি?

 উত্তর:যে বিক্রিয়ার ফলে কোনো বস্তু সম্পূর্ণভাবে নতুন বস্তুতে পরিণত হয়, কোনোভাবেই আর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে না, সেই বিক্রিয়াকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।

 ) জলে পড়া নোংরার সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে কে?

 উত্তর:বাতাসের অক্সিজেন।

 ) দুধে লেবুর রস দিলে কি হয়?

 উত্তর:দুধের সঙ্গে লেবুর রসের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুধ কেটে ছানা হয়।

 ) জামায় লেগে থাকা দাগ কীভাবে উঠানো যায়?

 উত্তর:লেবুর রস দিয়ে ঘষলে।

 ) জলে কি কি ভাবে নোংরা এসে পড়ে?

 উত্তর:বাড়িতে ব্যবহার করা আবর্জনাপূর্ণ জল, ড্রেনের নোংরা জল, খোলা জায়গায় পরিত্যক্ত বর্জ্য পদার্থ বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে পুকুরের জলে এসে পড়ে।

 ) ‘ড্রেনের নোংরা জল পুকুরে পড়লেও অনেক সময় পুকুরের জল নোংরা হয় না'- এর কারণ কি?

 উত্তর:এর কারণ হল বাতাসের অক্সিজেন পুকুরের জলের সঙ্গে মিশে গিয়ে নোংরার সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে নোংরাকে ভেঙে দেয়। এছাড়া মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী কিছু নোংরা খেয়ে নেয়।

 ) চকচকে লোহার পেরেক বাতাসে ফেলে রাখলে কি হয়?

 উত্তর:জলীয় বাষ্পের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে লোহার চকচকে রং লালচে-বাদামি হয়ে যায়।

 ১০) কয়লা পোড়ানো হলে কি হয়?

 উত্তর:অক্সিজেনের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে।

 

জল শোধনের নানা কথা

 ) মাছের ঘা সারাতে কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা যেতে পারে? এই রাসায়নিকে প্রচুর পরিমাণে কি থাকে?

 উত্তর:পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট। এতে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন থাকে।

 ) জলে রাসায়নিক পদার্থ বেশি দিলে কি হবে?

 উত্তর:জলে থাকা মাছ এবং অন্যান্য ছোট বড় জীবের মৃত্যু হবে।

 ) জল শোধনের কয়টি পদ্ধতি কি কি?

 উত্তর:দুটি পদ্ধতি। প্রাকৃতিক পদ্ধতি রাসায়নিক পদ্ধতি।

 ) প্রাকৃতিক জল শোধনে কোন কোন প্রাণী সাহায্য করে?

 উত্তর:জলে থাকা মাছ এবং অন্যান্য ছোট বড় প্রাণী।

 ) পুকুরের জল পরিস্কার রাখতে কি কি নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত?

 উত্তর:  * পুকুরের জলে বাসন মাজা, কাপড় কাচা প্রভৃতি বন্ধ করতে হবে।

 * পুকুরের জলে কোনো পশুকে স্নান করানো যাবে না।

 * পুকুরের জলে ময়লা আবর্জনা বা কোনো প্লাস্টিক ফেলা যাবে না।

 * পুকুরের সঙ্গে কোনো ময়লা জলের নর্দমা যুক্ত করা যাবে না।

 

ঘরের বাহিরে তাকিয়ে দেখো

 ) পুকুর পাড়ে ঝাড় হয়ে জন্মায় এমন দুটি গাছের নাম লেখো।

 উত্তর:বাঁশ এবং কলা গাছ।

 ) জলের মধ্যে কি কি উদ্ভিদ জন্মায়?

 উত্তর:শালুক, পদ্ম, পানা, কলমিশাক প্রভৃতি।

 ) কলাগাছের ফলকে কি বলে?

 উত্তর:কাঁদি।

 ) মোচা কি? এটি কোথায় দেখা যায়?

 উত্তর:কলাগাছের ফুলকে মোচা বলে। এটি কলার কাঁদির শেষে ঝুলতে দেখা যায়।

 ) ঢেঁকি শাক দেখতে কেমন? এটি কোথায় জন্মায়?

 উত্তর:ঢেঁকি শাক দেখতে লতার মতো এবং পাতা খাঁজ কাটা। এটি জলের খুব কাছে ডাঙায় হয়।

 ) জলের মধ্যে কি কি প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়?

 উত্তর:মাছ, ব্যাং, কচ্ছপ, কাঁকড়া প্রভৃতি প্রাণী।

 

মাটির নীচে জল

 ) পানীয় জলের পুকুরে কি কি করা নিষিদ্ধ?

 উত্তর:স্নান করা নোংরা ফেলা।

 ) মাটির নীচের জল কি কি কাজে ব্যবহার হয়?

 উত্তর:কৃষিকাজে, পানীয় হিসাবে এবং গৃহস্থালির কাজে।

 ) সুন্দরবনের মাটির নীচের জল কেমন এবং কেন?

 উত্তর:সুন্দরবনের মাটির নীচের জল নোনতা হয় কারণ, এখানে মাটির নীচে সাগরের জল চুইয়ে আসে।

 ) মাটির নীচের জল অত্যাধিক ব্যবহার করলে কি হবে?

 উত্তর:মাটির নীচের জলস্তর অনেক নীচে নেমে যাবে। ফলে টিউবওয়েল দিয়ে আর জল উঠবে না।

 পানীয় জল, চাষবাসে ব্যবহৃত জল প্রভৃতির জন্য জল পাওয়া যাবে না অর্থাৎ জলের সংকট দেখা দেবে।

 ) মাটির নীচের পানীয় জল অপচয়ের কারণ লেখো।

 উত্তর:* লোকালয়ের প্রায় সমস্ত কাজেই মাটির নীচের জল ব্যবহার করা হয়।

 * কল যদি খোলা থাকে তাহলেও জল পড়ে জলের অপচয় ঘটে।

 

জল নষ্ট আর জল কষ্ট

 ) গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ রান্নার কাজে কোন জল ব্যবহার করে?

 উত্তর:পুকুরের জল।

 ) সজল ধারার জল কি কাজে ব্যবহার হয়?

 উত্তর:স্নান করা এবং পান করার কাজে।

 ) কি কি কাজে পুকুরের জল ব্যবহার করা উচিৎ নয়?

 উত্তর:রান্না করা, আনাজ ধোয়া, মুখ ধোয়া প্রভৃতি কাজে।

 ) পুকুরের জল পানীয় হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয় কেন?

 উত্তর:পুকুরের জলে এমন কিছু জীবাণু থাকে যা জল ফোটালেও নষ্ট হয় না। ফলে জল পান করলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ব। তাই পুকুরের জল পানীয় হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।

 

জল হল নষ্ট, টিউবওয়েলের কষ্ট | বৃষ্টির জল ধরো

 ) আমাদের কলের জল নষ্ট করা উচিৎ নয় কেন?

 উত্তর:কারণ ভবিষ্যতে জলের সংকট দেখা দেবে।

 ) টিউবওয়েলের মুখ থেকে কীভাবে জল খাওয়া উচিৎ?

 উত্তর:গ্লাস অথবা মগে করে।

 ) কল থেকে জল পড়ার পর কি হতে থাকে?

 উত্তর:কিছু জল বাষ্প হয়ে যায় কিছু জল মাটিকে ভিজিয়ে নরম রাখে।

 ) বৃষ্টি শুরুর প্রথম দিকে জলে কি থাকে?

 উত্তর:জলে নোংরা থাকে এবং সামান্য পরিমাণে লঘু অ্যাসিড থাকে।

 ) বৃষ্টির জলকে কোন কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়?

 উত্তর:বৃষ্টির জলকে পানীয় হিসাবে এবং রান্নার কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়।

 ) বৃষ্টির জলকে কিভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে?

 উত্তর:ঘর মোছা, গাছের গোড়ায় জল দেওয়া প্রভৃতি কাজে।

 ) বৃষ্টির জল ধরে রাখার দুটি পদ্ধতি লেখ।

 উত্তর:* পুকুর বা খাল কেটেও বৃষ্টির জল ধরে রাখা যায়।

 * বৃষ্টির সময় বাড়ির ছাদে বালতি, জালা অথবা অন্য কোনো বড় পাত্র রেখে বৃষ্টির জল ধরে রাখা যায়।

 ) বৃষ্টির জল কি কি কাজে ব্যবহার করা যায়?

 উত্তর:* ঘর মোছা, কাপড় কাচার কাজে ব্যবহার হয়।

 * মানুষ গবাদি পশুর স্নান করার কাজে ব্যবহার হয়।

 * চাষবাসের কাজে মাছ চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

 * বাথরুম পরিস্কার করার কাজে ব্যবহার হয়।

 

জল নষ্টের হিসেব নিকেশ কত গভীরে জল

 ) এখনও অনেক গ্রামে পানের জন্য কোন জায়গার জল ব্যবহার করা হয়?

 উত্তর: টিউবওয়েলের জল এবং পাতকুয়োর জল।

 ) কম গভীর টিউবওয়েলের জল খাওয়া উচিত নয় কেন?

 উত্তর:কম গভীর টিউবওয়েল দিয়ে তোলা জলে অধিক পরিমাণে আয়রন, বিভিন্ন খনিজ পদার্থ জীবাণু মিশে থাকে। এছাড়া পুকুর, নর্দমার নোংরা জল চুইয়ে মাটির কম গভীরের জলের সঙ্গে মেশে। এর ফলে ওই জল অধিক পরিমাণে দূষিত হয়। এইসব কারণে আমাদের কম গভীর টিউবওয়েলের জল খাওয়া উচিত নয়।

 

মাঝখানে কেউ যায় না

 ) জলাভূমি কি?

 উত্তর:কোনো বিশাল দিঘি, বাঁওর মরা নদী ধীরে ধীরে বুজে গিয়ে সারাবছর জল পাঁকযুক্ত মে জলাশয় তৈরি হয়, তাকে জলাভূমি বলে।

 ) জলাভূমিতে কি কি পাখি দেখা যায়?

 উত্তর:বক, মাছরাঙা, পানকৌড়ি, চিল, ডাহুক, কাদাখোঁচা প্রভৃতি পাখি।

 ) কুবিরদহের জলাভূমিতে কি কি মাছ পাওয়া যায়?

 উত্তর:শোল, বোয়াল, শিঙি, মাগুর, কই, পাঁকাল প্রভৃতি মাছ দেখা যায়।

 ) কবিরদের জলাভূমিতে আগে কোন প্রাণী থাকত বলে অনুমান করা হয়?

  উত্তর:কুমির।

 ) কোন প্রাণী ধরা বেআইনি?

 উত্তর:কচ্ছপ।

 ) জলাভূমি আর কি কি নামে পরিচিত?

 উত্তর:দহ, তাল, পটস, চাউরস, মোনস প্রভৃতি।

 ) গোটা রাজ্যে ছোট বড় মিলে জলাভূমির সংখ্যা কত?

 উত্তর:প্রায় এক হাজার।

 ) জলাভূমিতে কোন সময় নানা ধরণের পাখির আগমন ঘটে?

 উত্তর:শীতকালে।

 ) জলাভূমির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

 উত্তর:* জলাভূমির জল কখনো শুকোয় না।

 * জলাভূমিতে খুব গভীরে জল থাকে না।

 ১০) জলাভূমিগুলি কোথায় অবস্থিত?

 উত্তর:* সাঁতরাগাছির ঝিল- হাওড়া।

 * সাহেববাঁধ- পুরুলিয়া।

 রসিকবিল- কোচবিহার।

 

কলকাতার ঢাল পূর্বদিকে

 

) কলকাতার ঢাল কোনদিকে ছিল?

 

উত্তর:পূর্বদিকে।

 

) কত বছর আগে ঠিক হয় কলকাতার নোংরা পূর্বদিকে ফেলা হবে?

 

উত্তর:১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে অর্থাৎ প্রায় দেড়শো বছর আগে।

 

) তিনশো বছর আগে কলকাতার নোংরা কোথায় ফেলা হত?

 

উত্তর:গঙ্গায়।

 

) কলকাতার নোংরা জল কোথায় পাঠানো হবে বলে ঠিক হয়?

 

উত্তর:বিদ্যাধরী নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পাঠানো হবে বলে ঠিক হয়।

 

) কোন নদী মজে গিয়ে পূর্ব কলকাতার জলাভূমি সৃষ্টি হয়েছে?

 

উত্তর:বিদ্যাধরী নদী।

 

) কলকাতার জলাভূমিতে কি কি প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়?

 

উত্তর:শামুক, শাপ, শেয়াল প্রভৃতি প্রাণী।

 

) কলকাতার জলাভূমিতে কি চাষ করা হয়ে থাকে?

 

উত্তর:মাছ চাষ।

 

) কত খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় মাছের ঘাট তৈরি হয়?

 

উত্তর:১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে।

 

) কত খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় পাকাপাকিভাবে মাছচাষ করা শুরু হয়?

 

উত্তর:১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে।

 

১০) কত খ্রিষ্টাব্দে রাজ্যে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ শুরু হয়?

 

উত্তর:১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে।

 

 

উদ্ভিদ আর প্রাণীদের নিয়ে জীবজগৎ

 

) ভোরবেলা বাইরে বেরোলে কি দেখা যায়?

 

উত্তর:নীল আকাশে সূর্য এবং চারদিকে সবুজ গাছপালা।

 

) কি কি নিয়ে উদ্ভিদ জগৎ গড়ে উঠেছে?

 

উত্তর:সূর্যের আলো, মাটি, জল বাতাস নিয়ে।

 

) মধু কারা তৈরি করে?

 

উত্তর:মৌমাছি।

 

) উদ্ভিদ প্রাণী কে কার উপর বেশি নির্ভর করে?

 

উত্তর:প্রাণীরা উদ্ভিদের উপর।

 

) তৃণভোজী প্রাণী কাদের বলে?

 

উত্তর:যে সকল প্রাণীরা উদ্ভিদকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে, তাদের তৃণভোজী প্রাণী বলে। যেমন- গরু, ছাগল, হরিণ, খরগোশ প্রভৃতি।

 

) মাংসাশী প্রাণী কাদের বলে?

 

উত্তর:যে সকল প্রাণীরা অন্য প্রাণীদের খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে, তাদের মাংসাশী প্রাণী বলে। যেমন- বাঘ, সিংহ প্রভৃতি।

 

) সর্বভুক কাদের বলে?

 

উত্তর:যে সকল প্রাণীরা উদ্ভিদ এবং প্রাণী উভয়কেই খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে, তাদের সর্বভুক বলে। যেমন- মানুষ।

 

) তৃণভোজী প্রাণীরা কি খেয়ে বেঁচে থাকে?

 

উত্তর:ঘাস, পাতা, গাছ, ফুল, ফল প্রভৃতি।

 

) কারা তৃণভোজী প্রাণীদের খেয়ে বেঁচে থাকে?

 

উত্তর:বিভিন্ন মাংসাশী প্রাণী যেমন- বাঘ, সিংহ, নেকড়ে প্রভৃতি প্রাণী।

 

১০) উদ্ভিদ প্রাণীদের উপর কীভাবে নির্ভরশীল?

 

উত্তর:উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির জন্য যে কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে তা প্রাণীদের শ্বাসকার্যের ফলেই উৎপন্ন হয়।

 

বিভিন্ন কীটপতঙ্গ, বাদুড়, পাখি প্রভৃতি প্রাণী উদ্ভিদের পরাগসংযোগে সাহায্য করে।

 

উদ্ভিদের বীজ ফলের বিস্তারেও বহু প্রাণী সাহায্য করে।

 

১১) প্রাণীরা উদ্ভিদের উপর কীভাবে নির্ভরশীল?

 

উত্তর:প্রাণীদের খাদ্যের প্রধান উৎস হল উদ্ভিদ। তৃণভোজী প্রাণীরা সরাসরি উদ্ভিদ খেয়ে বেঁচে থাকে। আবার মাংসাশী প্রাণীরা তৃণভোজী প্রাণীদের খায়।

 

বিভিন্ন কীটপতঙ্গ, পাখি, কাঠবিড়ালি প্রভৃতি প্রাণীরা উদ্ভিদে আশ্রয় গ্রহণ করে।

 

বুনো থেকে পোষা হল

 

১২) সাঁতরাগাছি ঝিলে পাখিগুলো কখন আসে?

 

উত্তর:শীতকালে।

 

১৩) হাঁস পুষলে কি কি পাওয়া যেতে পারে ?

 

উত্তর:ডিম, মাংস প্রভৃতি।

 

১৪) লাল বনমোরগ, বাইসন দেখতে পাওয়া যায় এমন একটি অরণ্যের নাম লেখো।

 

উত্তর:জলদাপাড়ার অরণ্য।

 

১৫) গৌর বা বাইসন কি?

 

উত্তর:জলদাপাড়ার জঙ্গলে একধরণের কালো গরুর মতো দেখতে জন্তু দেখা যায়। এদের গৌর বা বাইসন বলে।

 

১৬) আমাদের দেশি গরুরা আগে কাদের মতো ছিল?

 

উত্তর:গৌর বা বাইসনদের মতো।

 

১৭) প্রথম কোন প্রাণী পোষ মেনেছিল?

 

উত্তর:কুকুর।

 

১৮) সাঁতরাগাছি ঝিলে শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা আসে কেন?

 

উত্তর:পরিযায়ী পাখিরা যেখানে বসবাস করে সেখানে শীতকালে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। তাই ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে এইসব পাখিরা কম শীতের দেশে চলে আসে এবং প্রায় দুইমাস কাটিয়ে নিজের দেশে ফিরে যায়। সাঁতরাগাছি ঝিল কম শীতযুক্ত অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় পরিযায়ী পাখিরা শীতকালে এখানে আসে।

 

১৯) পশুপাখিদের পোষ মানালে মানুষের কি সুবিধা হয়?

 

উত্তর:* চাষের কাজে বা যানবাহন হিসাবে এদের ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

এদের থেকে আমরা দুধ, ডিম, মাংস প্রভৃতি খাদ্য পেয়ে থাকি।

 

কে বন্য কে পোষা

 

) পাখি ভালো লাগলে পাখিকে না পুষে কি করা উচিৎ?

 

উত্তর:গাছের ডালে খাবার ঝুলিয়ে রাখবো। পাখিরা যখন খুশি এসে খেয়ে যাবে। তখন পাখিকে দেখব।

 

) কয়েকটি পালিত পাখির নাম লেখো।

 

উত্তর:টিয়া, ময়না, কাকাতুয়া প্রভৃতি পাখি।

 

) কয়েকটি বন্য পশুর নাম লেখ।

 

উত্তর:বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক প্রভৃতি।

 

) আমরা টিয়াপাখি কেন পুষি?

 

উত্তর:টিয়াপাখি দেখতে ভালো এবং খুব ভালো ডাকতে পারে। তাই আমরা টিয়া পুষি।

 

) পোষা টিয়া এবং হাঁসের মধ্যে পার্থক্য কি?

 

উত্তর:হাঁস সারাদিন জলে চরে বেড়ায়। কিন্তু সন্ধ্যাবেলা ডাক না দিলেও তারা ঠিক তাদের বাসায় ফিরে আসে। অন্যদিকে টিয়াপাখিকে যতই পোষ মানানো হোক না কেন কোনোভাবে খাঁচার দরজা খোলা পেলে সে আকাশে উড়ে যায়, আর ফিরে আসে না।

 

) বন্যপ্রাণীরা অন্যদের আক্রমণ করে কেন?

 

উত্তর:কোনো বন্যপ্রাণী অকারনে কারো ক্ষতি করে না। কেউ তাদের ক্ষতি করতে এলে বা তাদের খাদ্য থাকার জায়গা কেড়ে নিতে চাইলে বন্যপ্রাণীরা তাদের উপর আক্রমণ করে।

 

) বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে আমাদের কেমন আচরণ করা উচিত?

 

উত্তর:বন্য প্রাণীরা স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে ভালোবাসে। প্রকৃতির নিয়মে তারা খাদ্য সংগ্রহ করে এবং অনুকূল বাসস্থান খুঁজে নেয়। তাই আমাদের উচিত তাদের এই স্বাধীন জীবনযাপনে কোনোপ্রকার বাধা সৃষ্টি না করা। এছাড়া আমাদের চারপাশে যে সকল বন্যপ্রাণীরা আছে তারা যাতে তাদের প্রাকৃতিক খাদ্য বাসস্থান থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

 

বাড়ির কাছেই এতো উদ্ভিদ

 

) জলাশয়ে জন্মায় এমন তিনটি উপকারী শাকের নাম লেখ।

 

উত্তর:হেলেঞ্চা, কুলেখাড়া ব্রাহ্মী শাক।

 

) গাছ চেনা সহজ কেন?

 

উত্তর:গাছ ছুটে পালাতে পারবে না। অনেকক্ষণ ধরে গাছকে দেখা যাবে।

 

) ঢেকি শাক আসলে কি?

 

উত্তর:একধরণের ফার্ন।

 

) হেলেঞ্চা শাকের স্বাদ কেমন?

 

উত্তর:তেতো।

 

) কুলেখাড়া গাছ কেমন দেখতে?

 

উত্তর:এই গাছ কাঁটাযুক্ত এবং এর পাতা সরু লম্বা।

 

) কুলেখাড়া শাক আমাদের কি উপকার করে?

 

উত্তর:কুলেখাড়ার রস রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে।

 

) কোন শাক আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে?

 

উত্তর:ব্রাহ্মী শাক।

 

ঘরের কাছে কত প্রাণী

 

) গন্ধগোকুল বা ভাম বেড়াল দেখতে কেমন?

 

উত্তর:অনেকটা হুলো বেড়ালের মতো। রং কালো, মুখটা কুকুরের মতো সরু। লেজটা লম্বা আর লোমশ।

 

) এমন কয়েকটি বন্যপ্রাণীর নাম লেখ যারা তাড়ালেও বাড়িতে থাকতে চায়?

 

উত্তর:মশা, মাছি, আরশোলা, টিকটিকি, মাকড়সা প্রভৃতি।

 

) বাড়িতেও থাকে আবার ঝোপে ঝাড়ে থাকে এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখ।

 

উত্তর: গিরগিটি, মাকড়সা।

 

) কোন প্রাণী খাবারের খোঁজে বাড়িতে আসে?

 

উত্তর: ইঁদুর, ছুঁচো।

 

) সাপের সম্পর্কে কোন ধারণাটি ভুল?

 

উত্তর:সাপ মানুষ দেখলেই কামড়ায় এবং মানুষের মৃত্যু হয়।

 

      

শিখব সবাই মিলে, চিনব সবাইকে

 

) কোন প্রাণীর পা গুণে শেষ করা যায় না?

 

উত্তর:কেন্নোর।

 

) কোন প্রাণীর পা নেই?

 

উত্তর:কেঁচো, সাপ প্রভৃতি প্রাণীর।

 

) সাপকে দেখতে কেমন?

 

উত্তর:সাপের গায়ে লোম নেই। কিন্তু ওদের গায়ে আঁশ ভর্তি থাকায় গা চকচক করে।

 

) কোন প্রাণীর গায়ে হাত লাগলে চুলকানি হয় এবং কেন?

 

উত্তর:শুঁয়োপোকার গায়ে। কারণ এদের গায়ে শুঁয়ো ভর্তি থাকে।

 

) শুঁয়োপোকাগুলি পরে কিসে পরিণত হয়?

 

উত্তর:প্রজাপতিতে।

 

) প্রজাপতির কয়টি ডানা থাকে?

 

উত্তর:দুটি।

 

) জলে থাকে এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখ।

 

উত্তর:মাছ, ব্যাঙ।

 

) দুটি শিকারি প্রাণীর নাম লেখো।

 

উত্তর:বাঘ, সিংহ।

 

) নিশাচর প্রাণী কাদের বলে?

 

উত্তর:

 

 যে সকল প্রাণী দিনের পরিবর্তে রাতে শিকার করতে বের হয়, তাদের নিশাচর প্রাণী বলে। যেমন- পেঁচা।

 

               কে মেরুদণ্ডী, কে অমেরুদণ্ডী

 

) কয়েকটি আঁশযুক্ত কয়েকটি আঁশবিহীন মাছের নাম লেখ।

 

উত্তর:

 

* আঁশবিহীন- শিঙি, মাগুর, ট্যাংরা।

 

* আঁশযুক্ত- রুই, কাতলা, কই।

 

) রুই ট্যাংরা মাছের মোট কয়টি পাখনা?

 

উত্তর:সাতটি।

 

) কাঁটা নেই এমন একটি মাছের নাম লেখ।

 

উত্তর:চিংড়ি।

 

) জলের পোকা কাকে বলা হয়?

 

উত্তর:চিংড়ি মাছকে।

 

) অমেরুদণ্ডী প্রাণী কাদের বলে?

 

উত্তর:যে সকল প্রাণীদের দেহে হাড় বা কাঁটা কিছুই থাকে না, তাদের অমেরুদণ্ডী প্রাণী বলে।

 

) মেরুদণ্ডী প্রাণী কাদের বলে?

 

উত্তর:যেসব প্রাণীদের মাথা থেকে শরীরের শেষ ভাগ পর্যন্ত একটিই হাড় থাকে, তাদের মেরুদণ্ডী প্রাণী বলে।

 

) কয়েকটি মেরুদণ্ডী কয়েকটি অমেরুদণ্ডী প্রাণীর নাম লেখ।

 

উত্তর:মেরুদণ্ডী- মানুষ, কুকুর প্রভৃতি।

 

অমেরুদণ্ডী- কেঁচো, শামুক, প্রজাপতি প্রভৃতি।

 

) দেহের বাইরে শক্ত কাটা আছে এমন দুটি মাছের নাম লেখো।

 

উত্তর:শিঙি মাছ ট্যাংরা মাছ।

 

) কয়েকটি মেরুদণ্ডী কয়েকটি অমেরুদণ্ডী মাছের নাম লেখ।

 

উত্তর: মেরুদণ্ডী- রুই, কাতলা, ট্যাংরা প্রভৃতি।

 

অমেরুদণ্ডী- চিংড়ি।

      

                চেনা গাছের অচেনা আচরণ

 

) আকর্ষ কি?

 

উত্তর:অনেক লতানো গাছের গা থেকে সবুজ সুতোর মতো পাতা বের হয়। একেই বলে আকর্ষ।

 

) লতানো গাছে আকর্ষ হয় কেন?

 

উত্তর:লতানো গাছ নিজে খাড়া হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তাই পাশের শক্ত কিছুকে ধরে বেড়ে ওঠার জন্য এই গাছের আকর্ষ বের হয়।

 

) কয়েকটি লতানো গাছের নাম লেখ।

 

উত্তর:লাউ, কুমড়ো, করলা প্রভৃতি।

 

) কোন গাছ ঝুরি নামায়?

 

উত্তর:বটগাছ। কারণ বটগাছের চারপাশে ডাল থাকে। অত্যাধিক ভারের কারণে মোটা ডালগুলি ভেঙে যেতে পারে। তাই সেগুলির ভর দেওয়ার জন্য বটগাছ ঝুরি নামায়।

 

 খুব চেনা এবং আধ চেনা প্রাণীর আচার আচরণ

 

) কাকেরা খাবার লুকিয়ে রাখে কেন?

 

উত্তর:খিদে না থাকলে পরে খাওয়ার জন্য কাকেরা খাবার লুকিয়ে রাখে।

 

) বৃষ্টির আগে পিঁপড়েরা কি সরায় এবং কেন?

 

উত্তর:বৃষ্টির আগে পিঁপড়েরা মুখে করে নিজেদের ডিম সরিয়ে কোনো উঁচু জায়গায় রাখে। কারণ পিঁপড়েরা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগে থেকে বুঝাতে পারে।

 

) কোন প্রাণীর লেজ খসে গেলে আবার গজায়?

 

উত্তর:টিকটিকির।

 

) শিকারি মাছ কাদের বলে?

 

উত্তর:যে সকল মাছ অন্য ছোট মাছেদের ধরে খায়, তাদের শিকারি মাছ বলে। যেমন- শোল, শাল, ল্যাটা, চ্যাং প্রভৃতি মাছ।

 

) মাছ ছাড়া কয়েকটি আধ চেনা প্রাণীর নাম লেখ।

 

উত্তর: সাপ, ব্যাঙ, বাদুড়, কাঁকড়া, প্রজাপতি প্রভৃতি।

 

) কোন প্রাণীর নাম শুনলেই সকলে ভয় পায়?

 

উত্তর:সাপ।

 

) দুটি বিষধর এবং দুটি বিষহীন সাপের নাম লেখো।

 

উত্তর: বিষধর সাপ- গোখরো, কেউটে।

 

বিষহীন সাপ- জলঢোঁড়া, ময়াল।

 

) মাছের আঁশ এবং সাপের আঁশ এর মধ্যে পার্থক্য কি?

 

উত্তর:মাছের আঁশ পিচ্ছিল হয় এবং সাপের আঁশ হয় শুষ্ক প্রকৃতির।

 

            স্থানীয় প্রাণীর হারিয়ে যাওয়া

 

) কোন কোন মাছের চাষ করা হয়?

 

উত্তর:রুই, কাতলা, বাটা, গ্রাসকার্প প্রভৃতি মাছ।

 

) ছোট ডোবা পুকুরে কোন কোন মাছ থাকত?

 

উত্তর:শোল, শাল, চ্যাং প্রভৃতি।

 

) সাধারণত চাষ করা হয় না এমন কয়েকটি মাছের নাম লেখো।

 

উত্তর:বেলে, পুঁটি, মৌরলা প্রভৃতি।

 

) শকুন কীভাবে পরিবেশকে পরিষ্কার রাখে?

 

উত্তর:মরা জীবজন্তুর মাংস খেয়ে।

 

) শকুনরা কীভাবে মারা যাচ্ছে?

 

উত্তর:গরুদের ব্যাথা কমানোর ওষুধ দেওয়ার ফলে গরুর মাংসেও বিষ মিশছে। এই মাংস খাওয়ার ফলে শকুনের মৃত্যু হচ্ছে।

 

) কোন কোন ঔষধি গাছের বিলুপ্তি ঘটেছে?

 

উত্তর:সর্পগন্ধা, মেহেন্দি, মুক্তোঝুড়ি প্রভৃতি গাছের।

 

) সর্পগন্ধা গাছ থেকে কি ওষুধ তৈরি হয়?

 

উত্তর:উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ রেসারপিন।

 

) সিঙ্কোনা গাছ থেকে কি ওষুধ তৈরি হয়?

 

উত্তর:ম্যালেরিয়ার ওষুধ কুইনাইন।

 

) মেহেন্দি গাছ থেকে কি ওষুধ তৈরি হয়?

 

উত্তর:মাথা যন্ত্রণা চর্মরোগের ওষুধ।

 

১০) মুক্তোঝুড়ি গাছের রস কি কাজে ব্যবহার হয়?

 

উত্তর:বাতের ব্যাথা কমাতে, পোড়া বা ক্ষত সারাতে, পেটের যন্ত্রণা দূর করতে ব্যবহার হয়।

 

১১) জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?

 

উত্তর:আমরা আমাদের চারপাশে যে প্রাণী উদ্ভিদ দেখি তাদের একত্রে জীববৈচিত্র্য বলে।

 

১২) কোনো অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য কেন সংরক্ষণ করা উচিত?

 

উত্তর:বিভিন্ন কারণে কোনো অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা উচিত।

* মানুষ সহ বিভিন্ন প্রাণীদের খাদ্যের প্রধান উৎস হল সবুজ উদ্ভিদ। এছাড়া উদ্ভিদ জ্বালানি হিসাবেও ব্যবহার হয়। তাই কোনো অঞ্চলের উদ্ভিদের সংখ্যা কমে গেলে খাদ্য জ্বালানির সংকট দেখা দেবে।

 

পরিবেশে অনেকপ্রকার ভেষজ উদ্ভিদ পাওয়া যায় যা প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ নিরাময় করতে সক্ষম। তাই এই সকল উদ্ভিদকে সংরক্ষণ না করলে ভবিষ্যতে তা আমাদের জন্যই বিপদজনক হবে।

 

* বর্তমানে অনেক মাছ বিলুপ্তির পথে। তাই এইসব মাছগুলিকে সংরক্ষণ করা না গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এগুলি অজানাই থেকে যাবে।

 

* সর্বোপরি বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য আমাদের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা উচিত।




কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.